১৬ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার , রাত ১১:৩২

ইবাদাত – পর্ব- ১

ইবাদাত – পর্ব- ১

পরিচিতি :

হজ্ব  (الحج)এর শাব্দিক অর্থ, (القصد) ইচ্ছা করা, গমন করা। একটি বিশেষ অর্থ হচ্ছে, “কোনও মহিমান্বিত স্থানের দিকে অভিমুখি হওয়া, গমন করা।” -লিসানুল আরব, আল ক্বামুসুল মুহীত, আল মু’জামুল ওয়াসীত, উল্লিখিত শব্দ দ্র.

 

ইসলামী পরিভাষায় হজ্ব বলা হয়,

“বাইতুল্লাহ এবং মক্কার নির্ধারিত পবিত্র স্থানগুলোতে নির্দিষ্ট সময়ে, বিশেষ নিয়ম-কানুন অনুষরণ করে ইবাদত করার মহিমান্বিত কার্যক্রম আঞ্জাম দেওয়া।” -আত তা’রীফাত, লিলজুরজানী, পৃ. ৮২

আল্লামা আহমাদ দারদীর রহ. (মৃত্যু ১২০১হি.) হজ্বের কার্যাবলির বিবরণ উল্লেখসহকারে খুব সুন্দর সংজ্ঞা দিয়েছেন,

“ইহরামের সঙ্গে বিশেষ নিয়ম-কানুন অনুষরণ করে যিল হজ্বের দশম রাতে (নয় তারিখে) আরাফাতে অবস্থান, বাইতুল্লাহ’র চারদিকে সাতবার তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া সায়ী করা। -হাশিয়াতুদ দাসূকী আলা শরহিদ দারদীর লিল মুখতাসার, খ. ২ পৃ.২

 

তালবিয়া :

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالمُلْكَ، لاَ شَرِيكَ لَكَ

অর্থ : “আমি হাযির, হে আল্লাহ! আমি হাযির। আমি হাযির, আপনার কোনো শরীক নেই আমি হাযির। নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা, নিয়ামত ও রাজত্ব একমাত্র আপনারই। আপনার কোনো শরীক নেই।

এই বাণী হাজীদের পক্ষ থেকে আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ ও আনুগত্য প্রকাশের প্রতীক। এ যেন অন্তরের গভীর থেকে ভেসে আসা নিবেদন। আল্লাহর সামনে নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করার অনুভূতি জাগিয়ে নিঃশর্ত ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। মাবূদ গো আমি হাযির! তোমার বান্দা, তোমার আশেক।

আবশ্যকতা :

প্রত্যেক এমন মুসলিমের উপর জীবনে একবার ফরজ, যে শারীরিক ও আর্থিকভাবে হজের যাবতীয় কার্য সম্পাদনে সক্ষম। আল্লাহ্ তাআলা বলেন,

{وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِين}

অর্থ, এবং আল্লাহর জন্য এই ঘরের হজ করা মানুষের উপর কর্তব্য, যে সেখানে যাওয়ার সামার্থ্য রাখে। আর যে অস্বীকার করবে (সে যেন জেনে রাখে,) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাআলা জগতসমূহ থেকে অমুখাপেক্ষী। -সূরা আলে ইমরান (৩), আয়াত নং ৯৭

ফযিলত :

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,

>مَنْ حَجَّ لِلَّهِ فَلَمْ يَرْفُثْ، وَلَمْ يَفْسُقْ، رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ<.

অর্থ, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ পালন করে এবং এতে অশ্লীল কথা ও পাপ কাজে লিপ্ত হয় না, সে এমনভাবে (পাপমুক্ত হয়ে) ফিরে আসে যেন সে সেদিনই মায়ের গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করেছে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫২১, সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৩৫০

তাৎপর্য :

হজ মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি, সমতা ও ঐক্যের প্রতীক। যেখানে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাই একই পোশাকে মহান আল্লাহর দরবারে হাযিরা দেয়। যা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের প্রতি অনুগত থাকার শিক্ষা দেয়। যা মানবজাতিকে একতা ও সাম্যের পথ দেখায় এবং জীবনে দৃঢ়সংকল্প ও ত্যাগের মানসিকতা গড়ে তোলে। হজ শুধু একটি ইবাদত নয়; বরং জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা ও পরকালের জন্য মহা প্রস্তুতির চিত্র। যা দৃশ্যমান করতে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করছেন,

{وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ}

অর্থ, মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সব ধরনের উটের পিঠে সওয়ার হয়ে, আসবে দূর-দূরান্ত থেকে। -সূরা হজ (২২) : ২৭

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :

সূচনা হয় হযরত ইবরাহীম আ. এর সময় থেকে। আল্লাহর নির্দেশে তিনি পুত্র ইসমাঈল আ. কে সঙ্গে নিয়ে কাবা ঘর নির্মাণ করেন। এই ঘরই হজের কেন্দ্রবিন্দু।

মা হাজেরা যখন মরুভূমিতে পানির জন্য ছুটে বেড়াচ্ছিলেন, তখন সাফা-মারওয়ার মাঝে বারবার দৌঁড়ান। এই প্রচেষ্টাই সাঈ রূপে শিআরে পরিণত হয়। অবশেষে আল্লাহর রহমতে যে পানির সন্ধান তিনি পান তা আজও যমযম কূপরূপে বিশ্বের জন্য ঐতিহ্য বহন করে আছে।

ইবরাহীম আ. এর যুগ থেকে প্রবর্তিত হজের ঐতিহাসিক ধর্মীয় ভিত্তি বাকি রয়েছে ইসলাম, ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টান ঐতিহ্যের মধ্যেও। ফলে কা‘বাঘর একমাত্র আল্লাহর ইবদতের জন্য নির্মিত হলেও জাহেলী যুগে বহু মূর্তি সেখানে স্থাপন করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন মূর্তি অপসারণ করেন এবং আল্লাহর ইবাদতের কেন্দ্রস্থল হিসাবে কা‘বার পবিত্রতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। ১০ম হিজরীতে বিদায় হজের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর জন্য হজের বিধি-বিধান ও নীতিমালা বিশদভাবে সম্পন্ন করে যান।

হজের সময় :

হিজরী যুল-হিজ্জাহ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখে হজ পালন করা হয়। ইহরাম বাঁধতে পারবে শাওয়াল, যু-ক্ব’দাহ ও যুল হিজ্জাহ এই তিন মাসের যে কোনো সময়। আল্লাহ্ তাআলা বলেন,

{الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ}

অর্থ, হজ (যার সময় হচ্ছে,) নির্ধারিত কয়েকটি মাস। অতএব, যে ব্যক্তি (ইহরাম ও তালবিয়া দ্বারা) এই মাসগুলোতে (নিজের উপর) হজ ফরজ করেছে, (তার জন্য) হজে স্ত্রী মিলন, পাপ কাজ ও ঝগড়ার কোনো সুযোগ নেই। -সূরা বাক্বারা (২) : ১৯৭

হজের ধরন :

হজের তিনটি ধরন রয়েছে। (১) তামাত্তু’ (২) ইফরাদ (৩) ক্বিরান। তিন প্রকারের পার্থক্যগত সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ,

এক. হজ্বে তামাত্তু : এটি হজের সবচে সহজ পদ্ধতি। সাধারণত দূরবর্তী স্থান থেকে আসা হজযাত্রীরা এই পদ্ধতিতে হজ পালন করেন। এ পদ্ধতিতে প্রথমে কেবল উমরাহর জন্য ইহরাম বেঁধে উমরাহ পালন করা হয়। তারপর হালাল হয়ে হজের সময় পুনরায় ইহরাম বেঁধে হজ সম্পন্ন করা হয়। এই পদ্ধতিতে দম দেওয়া (কুরবানী করা) ওয়াজিব।

দুই. হজ্বে ইফরাদ : এ পদ্ধতিতে শুধু হজ পালন করা হয়, উমরাহ করা হয় না। ইহরাম বেঁধে সরাসরি হজের কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়। এতে দম দেওয়া (কুরবানী করা) বাধ্যতামূলক নয়, তবে সুন্নাত।

তিন. হজ্বে ক্বিরান : এটি অপেক্ষাকৃত কঠিন পদ্ধতি। এতে ধৈর্য ও প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। এ পদ্ধতিতে একই সঙ্গে একই ইহরামে হজ ও উমরাহ সম্পাদন করতে হয়। উমরার কাজগুলো সম্পন্ন করে ইহরাম খোলা হয় না; বরং ঐ ইহরামেই হজ সম্পন্ন করতে হয়। হজ্বে ক্বিরানেও দম (কুরবানী) ওয়াজিব হয়।

হজের প্রধান রীতিনীতিসমূহ :

মীকাত (ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট স্থান) থেকে ইহরাম বেঁধে তালবিয়া পাঠ করে মুহরিম হওয়া। বাইতুল্লাহ্’র তাওয়াফ করা। সাফা-মারওয়া সাঈ’ করা। আরাফাতের ময়দানে ওকূফ (অবস্থান) করা। মুযদালিফায় রাত যাপন করা। রামইউল জিমার (নির্দিষ্ট তিনটি জায়গায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করা। দম (কুরবানী) করা। তাওয়াফুল বিদা‘ (বহিরাগতদের জন্য বিদায়ী তাওয়াফ) করা।

যিয়ারতে মদীনা :

মদীনা মুনাওয়ারার যিয়ারত যদিও হজের কোনো অংশ বা বিধান নয়; কিন্তু হাজীদের জন্য এটি অত্যন্ত আবেগঘন বিষয়। মদীনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো ‘মসজিদে নববী’ ও ‘রওযা শরীফ’। মসজিদে নববীতে নামাজ অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ। এই মসজিদের একটি জায়গা ‘রিয়াযুল জান্নাহ’, যা জান্নাতের বাগানের অংশ। সেখানে ইবাদত করার অভিজ্ঞতা হাজীদের কাছে এক অবিস্মরণীয় অনুভূতি। আরও রয়েছে বদর ও উহুদ প্রান্তর। মসজিদে কুবা ও মসজিদে কিবলাতাইন। জান্নাতুল বাকী ইত্যাদি। সর্বোপরি এই শহরের বাতাস, পরিবেশ ও প্রতিটি কোণ আল্লাহর হাবীব সা.এর স্মৃতি ধারণ করে আছে।

যিয়ারতে মদীনা শুধু একটি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমন নয়। এটি নবীজি ও সাহাবায়ে কেরামের স্মৃতিবিজড়িত ত্যাগ, কুরবানী ও ইসলামী ইতিহাসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আপ্লুত হওয়ার স্থান। রওযার সামনে যখন হাজীরা দাঁড়ান, তখন তাদের হৃদয় ভালোবাসা, বিনয় ও কান্নায় ভরে ওঠে। এটি একটি মহৎ সুযোগ হুজুর সা.এর প্রতি সরাসরি সালাম পেশ করার। মদীনা ত্যাগ করার সময় হাজীদের হৃদয় জুড়ে থাকে বেদনা ও আশা, যেন বারবার ফিরে আসতে পারে এই শহরে।

হজ্বে আধ্যাত্মিকতা :

হজ শুধুই কিছু কার্য সম্পাদনের নাম নয়। রব্বে কাবা ও সাহেবে মদীনার প্রতি আত্মিক অনুভূতি ও হৃদয়ের সম্পর্ক স্থাপনের নাম। তাওয়াফের সময় আল্লাহর সান্নিধ্যে আসার অনুভূতিতে অশ্রু প্রবাহিত করবে। গুনাহ থেকে গভীরভাবে তাওবা করবে। আরাফাতের দিন মন খুলে দুআ করবে এবং আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত প্যার্থনা করবে। বিভিন্ন নেক নিয়তে, আবেগ নিয়ে বেশি বেশি যমযমের পানি পান করবে। কা‘বার সামনে গভীর প্রেম ও বিনয়ের সঙ্গে সিজদা করবে, চোখের পানি ছেড়ে অঝোড় কাঁদবে। প্রতিটি পদক্ষেপে যেন প্রেম, কান্না ও আবেদন লুকিয়ে থাকে। মদীনার প্রকৃতির প্রতি আনত নয়নে তাকিয়ে সোনালী যুগের কল্পনার মাঝে হারিয়ে যাবে। পারলে রওযার সামনে দাঁড়িয়ে আপ্লুত হয়ে বিভিন্ন কবিতা ও শ্লোক পাঠ করবে, এতে মনের ভাব-ভালোবাসা হৃদয় ছঁয়ে যায়। সম্ভব হলে সফরের আগে কিছু কবিতা মুখস্থ করে নিবে। নিম্নে বিভিন্ন ভাষায় বাইতুল্লাহ’র সামনে পাঠ করার মত একটি করে সহজ অর্থবোধক শ্লোক উল্লেখ করা হল।

রবি কবিতা

لبيك اللهم لبيك # يا بيتَ الله، يا حرمَ الله

عيني تدمَعُ شوقًا إليكَ # والقلبُ يحنُّ لرؤياكَ

আমি হাযির, হে আল্লাহ! আমি হাযির। হে আল্লাহর ঘর, হে আল্লাহর হারাম! আমার চোখ তোমার প্রেমে অশ্রু ঝরাচ্ছে, আর আমার হৃদয় তোমায় দেখতে ব্যাকুল।

উর্দূ কবিতা :

یہ کونسی جگہ ہے ،  یہ کونسا  مقام  ہے # ہر  طرف  نور  ہی  نور ،  یہ کیا  نظام  ہے

خدا  کے گھر کے سامنے ،  جھکے ہیں  سب  یہاں # یہ جیت ہے عبادت کی ،  یہ ہارغرور  ہے

এটি কোন জায়গা, এ কোথায় এসেছি? চারদিকে শুধুই আলো, এই কী এক আয়োজন! আল্লাহর ঘরের সামনে সবাই বিনীত, এটি ইবাদতের বিজয় এবং অহংকারের পরাজয়।

ফার্সি কবিতা :

من  آمدم  بہ  کویت ،  يا  رب نظر  نما  #  چشمم  بہ  خانہ ‌ات ،  دل  از  عشق  کعبہ پا

ای قبلہ ‌گاہ دل ‌ہا ،  جانا  توئی  خدا #  بر ما  ببخش  رحمت ،  از  لطف  بے ‌پناه

আমি এসেছি তোমার কাছে, হে রব দৃষ্টি দাও। আমার চোখ তোমার ঘরে, আর হৃদয় কাবার প্রেমে সিক্ত। হে হৃদয়ের কেবলা, প্রভু তুমি  আমাদের উপর করুনা বর্ষণ কর।

রওজার সামনে পাঠ করার মত আবরী কবিতা :

يارسول الله قدجئنا لحبك # ياحبيب الله قدجئنا لقربك

في مدينة النور حللنا،# قلبنا بالفرح استبشر بك

ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা এসেছি আপনার ভালোবাসায়। হে নবী! আমরা এসেছি আপনার সান্নিধ্যে। মদীনার আলোকিত নগরে আমরা উপস্থিত হয়েছি, আমাদের হৃদয় আপনার যিয়ারতে আনন্দিত হয়েছে।

উর্দূ কবিতা :

مدینے کی فضاؤں میں یہ دل بهل رہاہے # رحمتوں کا سلسلہ ہرسو چل رہا ہے

درود کی محفلیں ، ہر دل میں روشنی ہے # مدینہ ہے یہاں ، سکون پل رہا ہے۔

মদীনার বাতাসে এই হৃদয় প্রশান্তি পাচ্ছে, সর্বত্র রহমতের ধারা প্রবাহিত হচ্ছে। দরূদ পাঠের আসর, প্রতিটি হৃদয় উজ্জ্বল হয়ে উঠছে, মদীনা এখানে, শান্তি এখানে গড়ে উঠছে।

ফারসি কবিতা :

یامدینہ ،شہر دل بر ،شہر ایمان وصفا # آمدی مبر آستانت ، با دل شوق ودعا

درحریم پا کو نورت ، دل زغمہا گشتہ پاک # نورعشق احمدی ، در دل ماشد رضا.

হে মদীনা, প্রেমের শহর, ঈমান ও পবিত্রতার শহর, আমরা তোমার দ্বারে এসেছি, হৃদয় শোক আর দুআ নিয়ে। তোমার পবিত্র আলোকিত পরিবেশে, হৃদয় দুঃখ থেকে মুক্তি পেয়েছে, আমাদের হৃদয়ে আহমদী প্রেমের আলো জ্বলেছে।

পরিহারযোগ্য কিছু অনুচিত কার্যকলাপ :

হজে অনেক সময় অনর্থক বা অনুচিত কিছু কাজ হয়ে যায়, যা হজের সঙ্গে খুবই অসঙ্গত, অসামঞ্জস্যপূর্ণ। যথা, প্রস্তুতিহীনভাবে হজে যাওয়া। হজের সাধারণ নিয়ম-কানুনগুলো পর্যন্ত না শিখা। ইবাদতের নির্ধারিত সময়ের প্রতি উদাসীন থাকা। খাদ্য, পানি বা অন্যান্য জিনিসের অপ্রয়োনীয় অপচয় করা। অতিরিক্ত বিলাসিতা করা। ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করা। মিনা বা আরাফাতের মাঠে নিজের সুবিধার জন্য অন্যদের অসুবিধা সৃষ্টি করা। বিশেষত ইবাদতের আত্মপ্রদর্শনী বা ছবি, সেলফি তোলা। যা খুবই গর্হিত কাজ, অবশ্যই পরিহারযোগ্য। আল্লাহ্ তাআলা আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন।

 

লেখক, মাওলানা মুহাম্মাদ ইনআমুল হাসান

লেখক, গবেষক, শিক্ষক  

#Leave A Comment

#Leave A Comment