২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার , সকাল ৭:২০

পরিবারনীতি – পর্ব-৩

পরিবারনীতি – পর্ব-৩

মা-বাবা ও সন্তান: প্রেম বাগানের একগুচ্ছ ফুল

সন্তান জন্মদানের পূর্ব প্রস্তুতি,

সন্তানের সুষ্ঠ লালন-পালন ও শিক্ষা দীক্ষা

সন্তান, মা-বাবার জীবনসঞ্জীবনী। সন্তান, মা-বাবার জীবনে সুবাসিত গোলাপ। সন্তান, মা-বাবার জীবনে একপশলা বারিধারা। আল্লাহ তাআলার অনন্য নিয়ামত সন্তান। সন্তানের প্রতি মা-বাবার মমতা আল্লাহ তাআলার বিশেষ দান। ঠিক যখন সন্তান পৃথিবীর বুকে নিঃশ্বাস ফেলে মায়ের কোল আলোকিত করে, সেই মুহূর্তটি স্বামী-স্ত্রীর জন্য জীবনের সেরা একটি মুহূর্ত।

সঠিক তারবিয়াতের প্রস্তুতি

বাচ্চার জন্মের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই বাচ্চাকে কীভাবে লালনপালন করবেন, এ ব্যাপারে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। সামনে সুদীর্ঘ এক জার্নি। অনুকূল-প্রতিকূল, কত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে! তাই আঁটঘাট বেধে ময়দানে নেমে পড়ুন। আল্লাহর উপর ভরসা নিয়ে, তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে শুরু করুন সঠিক তারবিয়াতের মাধ্যমে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ!

তারবিয়াত-সন্তানের লালনপালা

১. সংজ্ঞা

তারবিয়াত কাকে বলে, এই প্রশ্নের তারবিয়াহকে বিভিন্ন রূপে সংজ্ঞায়িত করা যায়। যেমন

ক. স্বাস্থ্য, বিবেচনাবোধ, আধ্যাত্মিক বিশ্বাস, পরিচালনা এবং সৃজনশীল দিকসহ জীবনের সবক্ষেত্রে একজন পরিপূর্ণ মুসলিম সত্তাকে গড়ে তোলার নাম তারবিয়াত।

খ. তারবিয়াত হলো: সন্তানের সামনে অস্ত্বিত্ববিষয়ক প্রশ্নগুলোর উত্তর স্পষ্ট করা। আমি কে? আমার সৃষ্টিকর্তা কে? আমার শেষ পরিণতি কী? আমার অস্তিত্বের উদ্দেশ্য কী? আমি মুসলিম কেন? কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হওয়ার প্রমাণ কী? নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুবুওয়াতের দলীল কী? যে কোরআন ও সুন্নাহর উপর ভিত্তি করে আমি সারাটি জীবন কাটাবো সেগুলো কীভাবে সংরক্ষিত হয়ে এসেছে? এরকমভাবে দ্বীনের সমস্ত মৌলিক বিষয়াদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া।

গ. তারবিয়াত হলো এমন একজন একজন মানুষ তৈরি করা, যে একটি মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাঁচবে। কোন সে লক্ষ্য? লক্ষ্যটি হলো? লক্ষ্যটি হলো, নিজ জীবনে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণসাধনে ব্যাপক অর্থের দাসত্ব বাস্তবায়ন করা।

২. ইসলামে তারবিয়াতের গুরুত্ব

ইসলাম ধর্মে তারবিয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রত্যেক ব্যক্তি তার অধীনে থাকা লোকদের জিম্মাদার। তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা তার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। এই দায়িত্ব সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। সর্বোপরি নিজেকে, নিজের অধীন পরিবারের সদস্যদেরকে জাহান্নামের ভয়াবহ আগুন থেকে রক্ষা করা প্রত্যেক অভিভাবকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

>كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، الإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي أَهْلِهِ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْئُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا، وَالخَادِمُ رَاعٍ فِي مَالِ سَيِّدِهِ وَمَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ<.

তোমরা সকলেই রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং তোমাদের প্রত্যেককেই অধীনস্থদের (দায়িত্ব) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। রাষ্ট্রপ্রধান একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ তার পরিবারবর্গের অভিভাবক, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে নারী তার স্বামীগৃহের কর্ত্রী, তাকে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে খাদেম তার মনিবের ধন-সম্পদের রক্ষক, তাকেও তার মনিবের ধন-সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।-সহীহ বুখারী, হাদীস ৮৯৩

আল্লাহ তাআলা বলেন,

{يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَائِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ}.

হে মুমিনগণ! নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবারবর্গকে রক্ষা কর সেই আগুন থেকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ পাথর তাতে নিয়োজিত আছে কঠোর স্বভাব, কঠিন হৃদয় ফেরেশতাগণ, যারা আল্লাহর কোন হুকুমে তাঁর অবাধ্যতা করে না এবং সেটাই করে, যার নির্দেশ তাদেরকে দেওয়া হয়।-সূরা তাহরীম  (৬৬) : ৬

. তারবিয়াদের ফযিলত

কোরআনে কারীম ও হাদীস শরীফে তারবিয়াতের ফযিলত নিয়ে বেশ গুরুত্বের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। সন্তানের জন্য সর্বোত্তম উপহার হলো তাকে শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া। বিশেষভাবে কন্যা সন্তানকে সঠিকভাবে তারবিয়াত দিয়ে বড় করলে সে মা-বাবার জন্য জাহান্নামের সামনে শক্ত প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তাদেরকে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে আল্লাহ তাআলার দয়ায় রক্ষা করবে। অভিভাবক ও সন্তান প্রকৃত মুমিন হলে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জান্নাতে একত্র করবেন।

সন্তান প্রতিপালন বিশেষত : কন্যা সন্তান প্রতিপালনের ফযিলতের ব্যাপারে নবিজি বলেছেন,

>مَنِ ابْتُلِيَ مِنْ هَذِهِ البَنَاتِ بِشَيْءٍ كُنَّ لَهُ سِتْرًا مِنَ النَّارِ<.

যে লোক মেয়ে সন্তান প্রতিপালনের পরীক্ষায় আপতিত হয় আর তাদের সাথে সে সদাচরণ করে, তাহলে তার জন্যে এরা জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে।-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৪১৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬৫৮৭

নেককার সন্তান ও তার অভিভাবককে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে একত্রে রাখবেন মর্মে ঘোষণা করে কোরআনে কারীমে বলা হয়েছে,

{وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُمْ مِنْ عَمَلِهِمْ مِنْ شَيْءٍ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ}.

 যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের সন্তান-সন্ততিগণ ঈমানের ক্ষেত্রে তাদের অনুগামী হয়েছে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে তাদের সাথে মিলিয়ে দেব এবং তাদের কর্ম হতে কিছুমাত্র হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের কাছে দায়বদ্ধ।-সূরা তূর (৫২) : ২১

একজন সফল অভিভাবকের গুণাবলী

একজন সফল অভিভাবকের কিছু গুণাবলী আছে। এই গুণাবলী যার মাঝে যত অধিক হারে পাওয়া যাবে, আল্লাহ তাআলার তাওফিক লাভের পরে সন্তানের লালনপালনে তিনি তত সফল। অভিভাবক হতে পারেন বাবা, মা, ভাই, বোন, চাচা, দাদা, মামা বা অন্য কেউ।

একজন সফল অভিভাবকের বেশ কিছু গুণাবলী আছে। তার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ হলো—

১. ইলম। ২. আমানতদারিতা। ৩. শক্তি-সামর্থ। ৪. ইনসাফ। ৫. মনোযোগ। ৬. দৃঢ় সংকল্প। ৭. সৎকর্ম। ৮. সত্যবাদিতা। ৯. প্রজ্ঞা।

তারবিয়াতের পদ্ধতি

তারবিয়াতের মোট পাঁচটি পদ্ধতি রয়েছে।

১. সন্তানের প্রতি তীক্ষ্ণ মনোযোগ

সন্তানের প্রতিটি কাজকর্ম তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করা। কোথায় কোনো সমস্যা হলো সঠিক নির্দেশনা দেওয়া। তবে পর্যবেক্ষণের নামে গোয়েন্দাগিরি বা সন্তানকে সংকীর্ণতায় ফেলে দেওয়া যাবে না। তার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি থাকবে ঠিক, তবে সবসময় তার পিছে লেগে থাকা যাবে না। ছোটখাটো সব বিষয়ে  সবসময় খুঁত খুঁজতে গেলে সন্তান আপনার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আপনার কাছে অনেক কিছু লুকোবে। বন্ধুদের সাথে সেসব শেয়ার করবে। এতে করে সন্তান তার স্বাভাবিক স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার কারণে বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। বিশেষভাবে বয়োঃপ্রাপ্তির কাছাকাছি বয়সে উপনীত সন্তানকে সবার সামনে তার খুঁত ধরা উচিত নয়। তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

২. ভালো কাজের অভ্যস্ত গড়ে তোলা

কোনো কাজ বারবার করতে থাকলে তা মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়। কাজটি ভালো হোক বা খারাপ, বারবার করতে থাকলে অভ্যাসে রূপ নেবেই। তাই ছোট থেকে সন্তানকে ভালো কাজে অভ্যস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এজন্যই হাদীসে সাত বছর বয়স থেকে নামাজের আদেশ করতে বলা হয়েছে, যাতে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই সন্তানের নামাজের অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৩. ঈঙ্গিতপূর্ণ ঢঙে সন্তানের সংশোধন

প্রথম প্রথম কোনো ভুল করলে সন্তানের প্রতি একটু রাগান্বিত দৃষ্টি অথবা হাত দিয়ে হালকা ইশারা করাই যথেষ্ট। বিশেষভাবে বড় কোনো সমাবেশে বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে সন্তানকে ধমক দেওয়ার চেয়ে এভাবে সংশোধন করা উত্তম। অন্যথায় সন্তান শাসনকে তার ব্যক্তিত্বের উপর আঘাত বিবেচনা করে অসদাচরণ করে ফেলতে পারে। কোনো কোনো সময় এভাবেও বলা যেতে পারে, এক বাচ্চাকে দেখলাম ঐ অপরাধটি করছে। সামনে এমন করতে দেখলে সে শাস্তির সম্মুখীন হবে। এভাবে বললে উদ্দিষ্ট সন্তানের সাথে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও সংশোধন এসে যাবে ইনশাআল্লাহ।

৪. উপদেশ দান

মাঝে মাঝে উপদেশ দানের মাধ্যমে সঠিক বিষয়টি তুলে ধরা যেতে পারে। শিক্ষণীয় গল্প শুনিয়ে, বৈঠকী আলাপের মাধ্যমে, উপমা-উদাহরণ ব্যবহার করে অথবা ঘটিতব্য কোনো ঘটনাকে সামনে নিয়ে তাকে উপদেশ দেওয়া যেতে পারে। ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে সন্তানকে মাঝে মাঝে এমন উপদেশ দিলে সন্তান বাবার প্রতি আন্তরিক হবে। বাবাকে তার আপন ভাবতে শিখবে। এতে সংশোধনের সম্ভাবনাও তুলনামূলক বেশি আশা করা যায়।

৫. উৎসাহ-শাসন

উৎসাহ-শাসন দুটোই সন্তানের তারবিয়াতের অন্যতম পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উৎসাহের সময় উৎসাহ এব শাসনের সময় শাসন করলে বাচ্চা বেয়াড়া হয় না। অতি উৎসাহ আর অতিমাত্রায় শাসনে বাচ্চা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হয় মা-বাবার কাঁধে চড়ে বসে আর না হয় মা-বাবার সাথে তার প্রীতির সম্পর্কের বদলে ভীতির সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। তাই ব্যালান্স করতে হবে।

পথভ্রষ্ট সন্তান, কি করণীয়

সবকিছু করার পরে-ও সন্তান আপনার ভালো মানুষ না-ও হতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতির জন্যও আপনার প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হলেন নবীগণ, তাঁদের কারো কারো সন্তানও পথভ্রষ্ট হয়েছিল। তাই আপনার সন্তান যে পথভ্রষ্ট হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন মুহূর্তে করণীয় হল—

১. অতীতকালে করা নিজের পাপের জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা।

২. সন্তানের হেদায়েতের জন্য দোয়া জারি রাখা।

৩. চেষ্টা অব্যাহত রাখা, ফলাফল লাভের অপেক্ষায় না থাকা। আপনি যেমন সন্তান চান, সন্তান তেমনই হয়ে যাবে, এই অপেক্ষায় না থাকা। মনে করবেন,  ফলাফল আমার হাতে নয়, বরং আল্লাহর হাতে। আমার চেষ্টা করার সাধ্য ছিল, করেছি। বাকীটুকুর জন্য আমি দায়ী নই। তাহলে পেরেশানি কমে যাবে।

৪. সন্তান সুপথে আসছে না, এজন্য দুঃখ হবে, এটাই স্বাভাবিক। এই দুঃখ-কষ্টের কারণে আমার সওয়াব হবে ইনশাআল্লাহ, এমন বিশ্বাস রাখবে। তাহলেও মনে একটা তৃপ্তি পাওয়া যাবে এই ভেবে যে, এভাবেও হয়তো আল্লাহ তাআলা আমার গুনাহ মোচন সুযোগ করে দিয়ে আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন।-

 

বি.দ্র. তারবিয়াত সম্পর্কিত আলোচনার জন্য দেখা যেতে পারে—

১. কাইফা তুরাব্বি ওয়ালাদাক, লাইলা বিনতে আবদুর রহমান আলজুরাইবিয়া, ওয়াকফ মন্ত্রণালয় সৌদি আরব।

২. তরবিয়তে আওলাদ, হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, মোহাম্মদ খালেদ অনূদিত, মোহাম্মদী লাইব্রেরী

৩. ইসলাম ও পারিবারিক জীবন ৫ম খণ্ড, জাস্টিস আল্লামা তাকী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ, মাকতাবাতুল আশরাফ

৪. শিশুর মননে ঈমান, ড. আঈশা হামদান, অনুবাদ মাসুদ শরীফ, সারাহ ইসলাম, সমকালীন প্রকাশন

৫. ইসলামী মনোবিজ্ঞান, মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দীন, মাকতাবাতুল আবরার

৬. সন্তানের ভবিষ্যৎ, ড. ইয়াদ কুনাইবি হাফিজাহুল্লাহ, অনুবাদ: আরশাদ আনসারী, সত্যায়ন প্রকাশন

৭. বাবা আদর্শ সন্তান গড়ার কারিগর, ড. করিম আশ-শাযলী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম অনূদিত, দারুল আরকাম

৮. প্যারেন্টিং এন ইসলামিক আইডোলজি ফর চিলড্রেন, জাবেদ মুহাম্মাদ, আহসান পাবলিকেশন

৯. সন্তান স্বপ্নের পরিচর্যা, মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ, অনুবাদ: জিম তানভীর, মোদাসসের বিল্লাহ তিশাদ, সানজিদা শারমিন, সিয়ান পাবলিকেশন

১০. সন্তান স্বপ্ন দিয়ে বোনা, আকরাম হোসাইন, সমকালীন প্রকাশন।

 

মাওলানা আবু রুফাইদা ইমরান

লেখক, গবেষক ও শিক্ষক

উস্তায, জামিয়া মাদানিয়া কাওমিয়া শেখ এম এ জব্বার কমপ্লেক্স, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, সিলেট, বাংলাদেশ।

#Leave A Comment

#Leave A Comment