২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার , দুপুর ২:৩৬

আদব – পর্ব- ১

আদব – পর্ব- ১

আদবশিষ্টাচারের পরিচয়:

প্রাচীন আরব তথা জাহেলী যুগে শব্দটি গণভোজের জন্য নিমন্ত্রণ বুঝাতে ব্যবহারীত হয়েছে। যেখানে দল, মত, গোত্র, ধনী – দরিদ্র নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমন্ত্রিত হতো। এটা যেহেতু সর্বজন বিধিত ও স্বীকৃত সৎ কাজ সেহেতু প্রতিটি ভালো কাজকে আদব হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া আদব শব্দটি বদান্যতা, আতিথিয়তা, সামাজিকতা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহারীত হয়েছে।

ইসলামের প্রথমিক যুগে আদব শব্দটি শিক্ষা, সংস্কার ও শিষ্টাচার অর্থে ব্যবহারীত হয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম ইরশাদ করেছন, আমার প্রতিপালক আমাকে আদব শিক্ষা দিয়েছেন, অতঃপর আমার আদবে সুন্দর রূপ দান করেছেন। এখানে আদব দ্বারা জ্ঞান ও শিষ্টাচার উদ্যেশ্য। ইমাম মুনাভী বলেন, আদব হচ্ছে ব্যক্তির অর্জিত জ্ঞান ও উত্তম চরিত্র [ফয়যুল কদীর, ১/২২৪]

যেহেতু মানুষ ভাল অভ্যাস ও কর্মের শিক্ষা ও অনুশীলন করে তাই এসব শিক্ষা, সংস্কার ও শিষ্টাচারকে আদব বলা হয়।

হিজরী দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতকে শব্দটি কোন কিছু সুচারুরূপে পালন করা বা ব্যক্তির করনীর নির্দেশ করতে ব্যবহারের প্রচলন ঘটেছে যেমনঃ “আদাবুল” কাদ্বী বা বিচারকের শিষ্টাচার/ করনীয়/ আবশ্যকীয় [ইবনে মানযুর, লিসানুল আরব, ১/৪৩]

এছাড়া হাদীস গবেষকগণ শিষ্টাচার সম্পর্কিত হাদিস সমূহকে আদাব অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন যেমনঃ “কিতাবুল আদাব” এই অধ্যায়ে বিভিন্ন পরিচ্ছেদে রয়েছে যেমন- “আদাবুল ইস্তিযান” অনুমতি গ্রহণের আদব, “আদাবুন নাওম” বা ঘুমের আদব, “আদাবুল আকল ওয়াস শারাব” বা পানাহারের আদব ইত্যাদি।

হিজরী তৃতীয় ও চতুর্থ শতকে আদব শব্দটি বিশেষ আদব ও সূফীদের অন্যন্ন শিষ্টাচার বর্ণনার্থে ব্যবহারীত হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত সতন্ত্র পুস্তকও রচিত হয়েছে, যেমন ইমাম ইমাম আবু আব্দুল্লাহ হারিস ইবনুল আসাদ আল-মুহাসেবী [৭৮১-৮৫৭] (রহ) রচিত “আদাবুন নুফুস” বা নফসের আদাব, ইমাম আব্দুর রাহমান সুলামী  [৯৪৭-১০৩৪] (রহ) রচিত “আদাবুস সুহবাহ” বা সুহবাতের আদব, এবং “আদাবুস সুফিয়্যাহ” বা সূফীদের শিষ্টাচার।

আদব হচ্ছে এমন কথা ও কাজ যা মানুষকে প্রশংসিত করে আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম হলেন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ভাবে সকল শিষ্টাচারে শিষ্ট ও সকল গুনে গুণান্বিত তাই তিনি মুহাম্মদ বা প্রশংসিত।

প্রাচীন আরব তথা জাহেলী যুগে শব্দটি গণভোজের জন্য নিমন্ত্রণ বুঝাতে ব্যবহারীত হয়েছে। যেখানে দল, মত, গোত্র, ধনী – দরিদ্র নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমন্ত্রিত হতো। এটা যেহেতু সর্বজন বিধিত ও স্বীকৃত সৎ কাজ সেহেতু প্রতিটি ভালো কাজকে আদব হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া আদব শব্দটি বদান্যতা, আতিথিয়তা, সামাজিকতা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহারীত হয়েছে।

ইসলামের প্রথমিক যুগে আদব শব্দটি শিক্ষা, সংস্কার ও শিষ্টাচার অর্থে ব্যবহারীত হয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম ইরশাদ করেছন, আমার প্রতিপালক আমাকে আদব শিক্ষা দিয়েছেন, অতঃপর আমার আদবে সুন্দর রূপ দান করেছেন। এখানে আদব দ্বারা জ্ঞান ও শিষ্টাচার উদ্যেশ্য। ইমাম মানাভী বলেন, আদব হচ্ছে ব্যক্তির অর্জিত জ্ঞান ও উত্তম চরিত্র [ফাইযুল কাদীর, ১/২২৪]

যেহেতু মানুষ ভাল অভ্যাস ও কর্মের শিক্ষা ও অনুশীলন করে তাই এসব শিক্ষা, সংস্কার ও শিষ্টাচারকে আদব বলা হয়।

হিজরী দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতকে শব্দটি কোন কিছু সুচারুরূপে পালন করা বা ব্যক্তির করনীর নির্দেশ করতে ব্যবহারের প্রচলন ঘটেছে যেমনঃ “আদাবুল” কাদ্বী বা বিচারকের শিষ্টাচার/ করনীয়/ আবশ্যকীয় [ইবনে মানযুর, লিসানুল আরব, ১/৪৩]

এছাড়া হাদীস গবেষকগণ শিষ্টাচার সম্পর্কিত হাদিস সমূহকে আদাব অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন যেমনঃ “কিতাবুল আদাব” এই অধ্যায়ে বিভিন্ন পরিচ্ছেদে রয়েছে যেমন- “আদাবুল ইস্তিযান” অনুমতি গ্রহণের আদব, “আদাবুন নাওম” বা ঘুমের আদব, “আদাবুল আকল ওয়াস শারাব” বা পানাহারের আদব ইত্যাদি।

হিজরী তৃতীয় ও চতুর্থ শতকে আদব শব্দটি বিশেষ আদব ও সূফীদের অন্যন্ন শিষ্টাচার বর্ণনার্থে ব্যবহারীত হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত সতন্ত্র পুস্তকও রচিত হয়েছে, যেমন ইমাম ইমাম আবু আব্দুল্লাহ হারিস ইবনুল আসাদ আল-মুহাসেবী [৭৮১-৮৫৭] (রহ) রচিত “আদাবুন নুফুস” বা নফসের আদাব, ইমাম আব্দুর রাহমান সুলামী  [৯৪৭-১০৩৪] (রহ) রচিত “আদাবুস সুহবাহ” বা সুহবাতের আদব, এবং “আদাবুস সুফিয়্যাহ” বা সূফীদের শিষ্টাচার।

আদব হচ্ছে এমন কথা ও কাজ যা মানুষকে প্রশংসিত করে আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম হলেন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ভাবে সকল শিষ্টাচারে শিষ্ট ও সকল গুনে গুণান্বিত তাই তিনি মুহাম্মদ বা প্রশংসিত।

ইসলামী আইন শাস্ত্রে আদবঃ

শাস্ত্রীয় পণ্ডিতদের মতে আদব শব্দটির বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেছেন যেমন,

১। ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাহ এর পর মুস্তাহাব। মুস্তাহাবকে আদাব হিসেবেও জানা হয়। মুস্তাহাব ঐ সকল কাজকে বলা হয় যা প্রশংসনীয় এবং পালনে প্রতিদান রয়েছে তবে না পালন কারী নিন্দনীয় হবেনা। [বাহারুর রায়েক, ৬/২৭৭]

২। আদব শব্দটি সুন্নাহ অর্থেও ব্যবহারীত হয় যা পালন করা প্রশংসনীয় এবং পালন না করা নিন্দনীয়।

৩। আদব হচ্ছে ঐ সকল কাজ যা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম কখনো করেছেন আবার কখনো করেননি। আর সুন্নাহ হচ্ছে যা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াস সাল্লাম নিয়মিত করতেন…। [আনিসুল ফুকাহা, ১/১০৬]

৪। আদব হচ্ছে এমন জ্ঞান যা দ্বারা সমস্ত ভুল ত্রুটি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর বিচারকের আদব হচ্ছে শরিয়া যা করতে আদেশ করে, যেমন ন্যায়বিচার প্রসারিত করা, অন্যায় দূর করা এবং পক্ষপাত ত্যাগ করা। [কাশশাফু ইস্তিলাহাতিল ফুনুন, ১/৫৪]

মূলকথাঃ আদব হচ্ছে, আদব হলো কাজ ও আচার আচরণের নির্ধারিত ইসলামি শিষ্টাচারকে বোঝায় যেমন “পরিমার্জন, ভাল আচরণ, নৈতিকতা, সাজসজ্জা, শালীনতা, মানবতা ইত্যাদি। যদিও আদবের ব্যাপ্তি ও বিশদ ব্যাখ্যা বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে, এই ব্যাখ্যাগুলোর মধ্যে সাধারণ আচরণের নির্দিষ্ট বিধান পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত অবস্থানের জন্য বিবেচনা করা হয়। আদব প্রদর্শন করার অর্থ হচ্ছে “সঠিক ক্রম, আচরণ প্রদর্শন করা।

আদব ও আখলাকের মধ্যে পার্থক্যঃ

আখলাক হচ্ছে স্বভাব চরিত্র হোক সেটা ভালো অথবা খারাপ। আখলাক দুই প্রকার।

ক। আখলাকে হাসানাহ বা সদস্বভাব

খ। আখলাকে যামিমাহ বা মন্দস্বভাব

তবে আখলাক শব্দটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইতিবাচক বা সদস্বভাব বুঝাতে ব্যবহার হয়।

ইলমুল আখলাক বা নীতিশাস্ত্রের বিজ্ঞান যা অনুশীলন ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানুষ তাদের মন্দস্বভাব ত্যাগ করে নীতি নৈতিক, মার্জিত আচার আচরণ ও শিষ্টাচারের অধিকারী হতে পারে।

আখলাক হল নীতিশাস্ত্র, নৈতিক দর্শন, নৈতিকতা/নীতি। ইসলামি আচার-আচরণ, স্বভাব, সদাচরণ, স্বভাব, মেজাজ, নৈতিকতা, নৈতিকতা বা ব্যক্তির চরিত্র।

আদব হল নৈতিক দর্শনের প্রকৃত অনুশীলন”; পদ্ধতি, দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ এবং এগুলোকে তাদের যথাযথ জায়গায় ব্যবহার করার শিষ্টাচার “বিশুদ্ধ আচরণের সংস্কৃতি যা মুসলমানদের নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে গঠন করে। আখলাক নফসের সাথে সম্পর্কিত আর আদব মানুষের আচার আচরণের সাথে সম্পর্কিত। সুতরাং আদব হচ্ছে উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।

আদব-কায়দার গুরুত্ব ও তাৎপর্য:

মানবজীবন তথা মুসলিম ব্যক্তির জীবনে আদব-কায়দার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহুল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

>إِنَّ الْهَدْىَ الصَّالِحَ ، وَالسَّمْتَ الصَّالِحَ ، وَالاِقْتِصَادَ جُزْءٌ مِنْ خَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ<

নিশ্চয়ই উত্তম চরিত্র, ভালো ব্যবহার ও পরিমিত ব্যয় বা মধ্যপন্থা অবলম্বন করা নবুয়্যাতের পঁচিশ ভাগের এক ভাগ সমতুল্য[-সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৪৭৭৮ হাদীসটি হাসান।

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন:

>اُطْلُبْ الْأَدَبَ فَإِنَّهُ زِيَادَةٌ فِي الْعَقْلِ ، وَدَلِيلٌ عَلَى الْمُرُوءَةِ ، مُؤْنِسٌ فِي الْوَحْدَةِ ، وَصَاحِبٌ فِي الْغُرْبَةِ ، وَمَالٌ عِنْدَ الْقِلَّةِ<.

তুমি আদব অন্বেষণ কর; কারণ, আদব হলো বুদ্ধির পরিপুরক, ব্যক্তিত্বের দলীল, নিঃসঙ্গতায় ঘনিষ্ঠ বন্ধু, প্রবাসজীবনের সাথী এবং অভাবের সময়ে সম্পদ।-গিযাউল আলবাব, ‍শামসুদ্দীন ছাফারিনী রহি. (১১৮৮ হি.) ১/৩৬

আর আদব বা শিষ্টাচার এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যার দ্বারা ব্যক্তির জীবন পরিশুদ্ধ ও পরিপাটি হয়; আর এ আদব হলো দীন ইসলামের সারবস্তু; সুতরাং মুসলিম ব্যক্তির জন্য জরুরি হলো আল্লাহ তা‘আলার সাথে, তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে এবং সাধরণ মানুষসহ সকল সৃষ্টির সাথে আদব রক্ষা করে চলা; আর এ আদবের মাধ্যমেই একজন মুসলিম জানতে পারবে তার খাবার ও পানীয় গ্রহণের সময় তার অবস্থা কেমন হওয়া উচিৎ; কিভাবে তার সালাম প্রদান, অনুমতি গ্রহণ, বসা, কথা বলা, আনন্দ ও শোক প্রকাশ করা, হাঁচি দেওয়া ও হাই তোলার মত বিবিধ কাজ সম্পন্ন হবে; আর কেমন ব্যবহার হবে তার পিতামাতা, ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে। এক কথায় এ আদব-কায়দা রক্ষা করে চলার মাধ্যমেই একজন মুসলিম কাঙ্খিত মানের ভদ্র ও সভ্য মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং নিজেকে অন্যান্য জাতির চেয়ে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে; ফলে দীন ইসলামের সৌন্দর্য ছড়িয়ে যাবে সমাজ, রাষ্ট্র ও দুনিয়ার দিক দিগন্তে। তাইতো কেউ কেউ শিক্ষার চেয়ে আদব বা শিষ্টাচারের বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন; ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন:

>تَأَدَّبُوا ثُمَّ تَعَلَّمُوا<.

তোমরা আগে সুসভ্য হও, তারপর জ্ঞান অর্জন কর।-গিযাউল আলবাব ১/৪৫

ইমাম মালেক রহি. (১৭৯ হি.) বলেন,

كَانَتْ أَمِّيْ تُعَمِّمُنِيْ وَتَقُوْلُ : اِذْهَبْ إِلى رَبِيْعَةَ فَتَعَلَّمْ مِنْ أَدَبِه قَبْلَ عِلْمِه.

আমার মা আমাকে পাগড়ী পরিয়ে দিতেন আর বলতেন, রাবিয়ার কাছে যাও এবং তার ইলমের তার আদব-কায়দা শিক্ষা কর।-তারতীবুল মাদারিক, কাজী ইয়াজ রহি. (৫৪৪ হি.) ১/১১৮

ইমাম কারাফী রহি. (৬৮৪ হি.) তাঁর আল-ফারুক গ্রন্থে বলেন:

>وَاعْلَمْ أَنَّ قَلِيلَ الْأَدَبِ خَيْرٌ مِنْ كَثِيرٍ مِنْ الْعَمَلِ<.

আর জেনে রাখবে, অনেক বেশি কাজের চেয়ে অল্প আদব অনেক বেশি উত্তম।-আল-ফুরুক ৩/১১৫

আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক বলেন:

>لَا يَنْبُلُ الرَّجُلُ بِنَوْعٍ مِنْ الْعِلْمِ مَا لَمْ يُزَيِّنْ عِلْمَهُ بِالْأَدَبِ<

ব্যক্তি কোনো প্রকার জ্ঞান দ্বারা মহৎ হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার জ্ঞানকে আদব দ্বারা সৌন্দর্যমণ্ডিত করবে।-আল-আদাবুশ শরইয়্যা, ইবনে মুফলিহ (৭৬৩ হি.) ৩/৫৫২ তিনি আরও বলেন:

>نَحْنُ إلَى قَلِيلٍ مِنْ الْأَدَبِ أَحْوَجُ مِنَّا إلَى كَثِيرٍ مِنْ الْعِلْمِ<.

আমরা অনেক বেশি জ্ঞানের চেয়ে কম আদবকে অনেক বেশি জরুরি বা প্রয়োজন মনে করতাম।-গিযাউল আলবাব ১/৬৩

কোনো কোনো দার্শনিক বলেন:

>لَا أَدَبَ إلَّا بِعَقْلٍ، وَلَا عَقْلَ إلَّا بِأَدَبٍ<.

আকল (বুদ্ধি) ছাড়া আদব হয় না; আবার আদব ছাড়া আকলও হয় না। অর্থাৎ একটি আরেকটির পূরিপূরক।-আল-আলাবুল শরইয়্যাহ, ইবনে মুফলিহ (৭৬৩ হি.) ৩/৫৫২

আর জনৈক সৎব্যক্তি তার ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বললেন:

>اجْعَلْ عَمَلَك مِلْحًا وَأَدَبَك دَقِيقًا<

তুমি তোমার আমলকে মনে করবে লবণ, আর তোমার আদবকে মনে করবে ময়দা। অর্থাৎ তুমি আমলের চেয়ে আদবকে এত বেশি গুরুত্ব দিবে, লবণ ও ময়দার স্বাভাবিক মিশ্রণে উভয়ের অনুপাত যেভাবে কম বেশি হয়-আল-ফুরুক ৩/৯৬

 

লেখক, ‍ছিদ্দিকুর রহমান

লেখক, গবেষক ও শিক্ষক

উস্তাদ, আজমপুর দারুল উলূম মাদরাসা, উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ।

#Leave A Comment

#Leave A Comment